প্রবাস

নিউইয়র্কে ‘স্বাধীনতা প্যারেড’ রোববার

বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ২৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘স্বাধীনতা প্যারেড’ আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

Advertisement

অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাঙালির চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। স্বাধীনতা প্যারেড-এর আহ্বায়ক ফাহিম রেজা নূর জানান, প্যারেড শেষে হবে পিএস ৬৯ স্কুলে। এরপর স্কুলের মিলনায়তনে আমাদের আয়োজনে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও গ্রন্থ প্রদর্শনী।

এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা। স্বাধীনতার কবিতা পাঠ, আবৃত্তি অনুষ্ঠান ও দেশের গান। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ সবাইকে পতাকা নিয়ে প্যারেডে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার। এই চেতনাকে সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের মহা গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায়।

অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি।

উপরন্তু পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজকে নির্বিচারে গণহত্যা করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

Advertisement

সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মূহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এমআরএম/এমকেএইচ