সপ্তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ শুক্রবার (২২ মার্চ)। ১৬ মার্চ শুরু হওয়া এ মেলার সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। সাত দিন ধরে চলা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের এ মেলা এ বছর জমেনি। মেলায় আগত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মালিক ও কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
Advertisement
তারা বলছেন, ষষ্ঠ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার তুলনায় এ বছর মেলার পুরো সময়জুড়েই ছিল দর্শনার্থীর কম উপস্থিতি। বেচাকেনাও হয়েছে কম। এ জন্য মেলার আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান এসএমই ফাউন্ডেশনকে দায়ী করছেন তারা।
তারা আরও বলছেন, গত বছর প্রতিটি স্টলের জন্য তাদের আট হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ বছর ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন স্টল প্রতি। সেই তুলনায় বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। বরং সমস্যায় পড়তে হয়েছে। প্রতিটি স্টলের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সেই সঙ্গে রয়েছে মশার উৎপাত।
শুক্রবার (২২ মার্চ) মেলায় রাজশাহী থেকে সেতু বুটিকের কর্ণধার রোজিয়া করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর খুবই বিক্রি হইছে। এমনও দিন গেছে ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু এ বছর বেচাকেনা নেই। আজ দুপুর পর্যন্ত একটা ওয়ান পিস বিক্রি করেছি। এত ভালো কালেকশন আনার পরও যদি বিক্রি না হয়, তাহলে কী করব?’
Advertisement
রোজিয়া করিমের সঙ্গে কথা বলার সময় শিল্পী হস্তশিল্প থেকে বেরিয়ে আসেন মৌলি। তিনি নিজ থেকেই বলতে থাকেন, ‘গত বছর আমাদের স্টলে প্রথম দিনই বিক্রি হয়েছিল দেড় লাখ টাকার বেশি। এ বছর প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত এক টাকাও বিক্রি ছিল না। সন্ধ্যার দিকে কিছু বিক্রি হয়েছে।’
শুক্রবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে জানান মৌলি। তিনি বলেন, ‘এ বছর গড়ে সাত হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে না।’
কয়েকজন দোকানি অভিযোগ করেন, পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে মেলার পুরো সময় ধরে দর্শনার্থীদের কম উপস্থিতি রয়েছে।
এ বিষয়ে লুবনা ফ্যাশনের কর্ণধার নুরজাহান বলেন, ‘এখানে অনেক স্টল পাওয়া যাবে, যাদের একেবারেই বিক্রি নেই। মানুষজন জানেই না মেলা হচ্ছে এখানে। অনেকে যাওয়া-আসার পথে মেলা দেখে এখানে ঘুরতে আসছে।
Advertisement
এমন অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন দোকানি।
পিডি/এনডিএস/এমকেএইচ