ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে যান। আজ তার তৃতীয় মৃত্যুার্ষিকী। দিদির কন্যা লামিয়া তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
Advertisement
এদিকে অনেকটা অসময়েই চলে যাওয়া দিতির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমার মায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’
অন্যদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘সন্মানিত সদস্য শিল্পী সমিতির সন্মানিত সদস্য পারভীন সুলতানা দিতি, রোজী আফসারীসহ এই মাসে মৃত্যু বরণকারী সকল সদস্যদের স্বরণে বুধবার বাদ আছর শিল্পী সমিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আপনি আমন্ত্রিত।’
Advertisement
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে মারা যান দিতি। পারভীন সুলতানা দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের প্রতি দিতির ছিলো দুনির্বার আকর্ষণ। সেই সূত্রেই ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। এরপর প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে তিনি অভিনয় করেন।
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দিতি ১৯৮৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন দিতি। এ ছবিতে একজন অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্বামী-স্ত্রী, হীরামতি, দুই জীবন, বীরাঙ্গনা সখিনা, আপন ঘর, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, আজকের হাঙ্গামা, স্ত্রীর পাওনা, শ্বশুরবাড়ি, চাকর, বেপরোয়, শেষ উপহার, চরম আঘাত, প্রেমের প্রতিদান, চার সতীনের ঘর, মেঘের কোলে রোদ, মাটির ঠিকানা প্রভৃতি।
শেষের দিকে সিনেমায় সময় কমিয়ে দিয়ে নাটকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি শুরু করেন নাটক পরিচালনাও। সিনেমা প্রযোজনা না করলেও করেন নাটক প্রযোজনা। দিতি রেখে গেছেন দুটি সন্তান। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেয় মেয়ে লামিয়া চৌধুরী আর ১৯৮৯ সালে জন্ম নেয় ছেলে দীপ্ত। দুজনেই কানাডায় পড়াশোনা শেষ করেছেন।
Advertisement
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ