ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তখন থেকেই তার ভক্তরা তার নামে এফডিসিতে শুটিং ফ্লোরের দাবি করে আসছিলেন। সেই দাবি কেবল দাবিতেই আটকে আছে।
Advertisement
তবে এফডিসির ভেতরে না হলেও ঢাকার অদূরে প্রিয় নায়কের নাম জড়িত একটি শুটিং স্পট পেতে যাচ্ছেন ভক্তরা। সালমান শাহরে সবচেয়ে ব্যবসা সফল সিনেমা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। সেই ছবির নামে নির্মিত হচ্ছে শুটিং স্পট।
সালমান শাহ স্মরণে এই শুটিং স্পটটি নির্মাণ করছেন সালমানের অন্ধ ভক্ত এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রাশেদ খান। গাজীপুরের উরখুলায় তৈরি হচ্ছে মোনরম লোকেশনের এই স্পটটি।
শুটিং স্পটের প্রতিষ্ঠাতা মালিক রাশেদ খান বলেন, ‘সালমান শাহ মানেই আবেগের নাম। আমার মতো অসংখ্য ভক্ত রয়েছে তার। দীর্ঘদিন ধরে সবাই প্রিয় নায়কের নামে কিছু একটা হোক এফডিসিতে এমন দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই দেখা যায়নি।
Advertisement
তাই নিজেই নিজের প্রিয় নায়ককে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই শুটিং স্পটটি চালু করেছি।’
এই প্রযোজক জানান, এ বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর জন্মদিনেই শুটিং স্পটটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। এটি শুটিং ও পিকনিকের জন্য ভাড়ায় পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকাই ছবির ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যবসা সফল ছবির নাম হিসেবে প্রচলিত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। ঈদে মুক্তি পেয়ে ছবিটি আয় করেছিল প্রায় ১৯ কোটি টাকা। এম এ খালেক পরিচালিত এই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় জুটি সালমান ও শাবনূর। ত্রিভূজ প্রেমের গল্পে আরও ছিলেন সোনিয়া।
ছবিটির গল্প ও নির্মাণশৈলীর পাশাপাশি এর গানগুলোও ছিল তুমুল জনপ্রিয়। তার মধ্যে ‘এইদিন সেইদিন কোনোদিন’, ‘নীল সাগর পাড়ি দিয়ে’ গান দুটো ছিল সবার মুখে মুখে। ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সিনেমাটি প্রথমে ১৯৯৫ সালের ১১ মে ঢাকার বাইরে মুক্তি পায়। পরে দর্শকের ব্যাপক চাহিদায় ঢাকাসহ সারাদেশে মুক্তি পায় এবং আলোড়ন তুলে।
Advertisement
এই ছবির পর বেড়ে যায় সালমান-শাবনূর জুটির চাহিদা। তারাও বাড়িয়ে নেন নিজেদের পারিশ্রমিক। তখন থেকেই সালমান নিয়মিত ৮ লাখ টাকা করে নিতেন প্রতি ছবিতে।
ছবিটিতে সালমানের নাম থাকে সুমন। শাবনূরের নাম সুমি ও সোনিয়া অভিনয় করেন ফারহা চরিত্রে। আরও ছিলেন রাজীব, প্রবীর মিত্র, আবুল হায়াত, দিলদার, ডলি জহুর, ব্ল্যাক আনোয়ার, সাঈদ আক্তার প্রমুখ।
এলএ/এমকেএইচ