ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ ঘটনার পরদিনই দেশে ফিরে আসেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। দেশে ফেরার পরই বিমানবন্দরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের আপাতত ছুটি। ওদের বলেছি, খেলাধুলা নিয়ে কিছুদিন না ভাবতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে।
Advertisement
ক্রিকেটারদের নিরাপদে ফিরে আসা এবং ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতের মাগফেরাত কামনা করে আজ বিসিবিতে আয়োজন করা হয় শুকরানা মিলাদ মাহফিলের। ক্রিকেটারদের ছুটি দেয়ার কারণে অধিকাংশই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
কেবল টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম ও তামিম ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। লিটন-মিরাজসহ অনেকেই ইতিমধ্যে গ্রামের বাড়ি পৌঁছে গেছেন। সৌম্য সরকার আজ সকালে যোগ দিয়েছেন আবাহনীর ট্রেনিং ক্যাম্পে।
মিলাদ মাহফিল শেষ হওয়ার পর মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হন বিসিবি সভাপতি। তার আগেই তিনি কথা বলেন তামিম, মুশফিক এবং রিয়াদের সঙ্গে। কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন, তাদের এখনকার মানসিক অবস্থা কি।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনেই জানতে চাওয়া হলো, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তো কথা বলেছেন, তাদের সঙ্গে কি কথা হলো এবং তাদের মানসিক অবস্থা কি? জবাবে পাপন বলেন, ‘না না.. ওই সব বিষয় নিয়ে খেলোয়াড়দের সাথে আর কোনো কথা হয়নি। ওরা ঠিক মতো এলো, এজন্য শুকরিয়ার জন্য একটা দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হলো। এ ছাড়া ক্রাইস্টচার্চে কতো মুসলমান মারা গেলো! ওখানে বাংলাদেশিও ছিল পাঁচজন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হলো। আমরা দোয়া করেছি। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া ওদের মানসিক অবস্থা বোঝারও ব্যাপার ছিল। আসলে এর চেয়ে ভয়াবহ মানসিক অবস্থা তো আর হতে পারে না। তবে আমার বিশ্বাস ওরা দ্রুত মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে পারবে।’
শোনা যাচ্ছে, ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে একজন মনোবিদ আনা হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এ রকম কিছু চিন্তা করছি না। আমরা ওদের অবজারবেশনে রেখেছি। তবে এজন্যই যে মনোবিদ আসবে, তা নয়। আমরা ঠিক করেছি যে, সব মিলিয়ে, বিশ্বকাপ আছে সামনে...। তার আগে একজন মনোবিদ এসে যদি ওদের সাথে সময় কাটান সেটা দলের জন্যই ভালো। তখন যদি কারো মনে হয়, কারো বিশেষ কোনো হেল্প দরকার, তাহলে অবশ্যই তা নেয়া হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement