দেশজুড়ে

ধর্ষণ মামলা চলা অবস্থায় আবার গণধর্ষণের শিকার ছাত্রী

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে পাঁচ বন্ধু। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত ১১ মার্চ প্রেমিক-প্রেমিকা একটি খেলার মাঠে বসে গল্প করছিল। এ সময় পাঁচ বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেলে এসে প্রেমিক-প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের আওতাধীন কাকড়াজান বিটের একটি বনে প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে পাঁচ বন্ধু। পরে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তারা। এ ঘটনায় জড়িতরা হলো- সাদ্দাম হোসেন, মো. জালাল, আশরাফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন।

স্থানীয়রা জানান, বনের ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে এগিয়ে যান কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় প্রেমিক-প্রেমিকাকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় পাঁচ বন্ধু।

বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে বিচারের চেষ্টা চলে। কিন্তু গ্রাম্য সালিসে বিচার না পেয়ে শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। রোববার সকালে মামলার দুই নম্বর আসামি মো. জালালকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জালালের কাছ থেকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করা হয়। বাকি আসামিদের কাছে আরও ভিডিও রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেফতার জালাল।

Advertisement

জালাল পুলিশকে আরও জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তাদের পাড়ার। মাঝেমধ্যে প্রেমিককে নিয়ে মাঠে বসে গল্প করত। আমাদের সঙ্গে প্রেম না করে অন্য গ্রামের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বাবা জানান, বছর দুয়েক আগে মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সখীপুর থানায় মামলাও হয়েছিল। এখনো মামলা চলছে। এরপর থেকে থানা ও আদালতে ঘুরতে গিয়ে লোক লজ্জার ভয়ে আর স্কুলে পড়া হয়নি মেয়েটির। আবার মামলায় যেতে হলো। আগের মামলায় মেয়ে বাদী ছিল। এবার আমাকেই বাদী হতে হলো। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই আমি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এএম/পিআর

Advertisement