রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘জাতীয় মাছ ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমান কাল ধরে ইলিশ বাঙালির রসনা বিলাসে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ সার্বিক অর্থনীতিতেও একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশ মাছের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ইলিশের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে জাতীয়ভাবে জাটকা সংরক্ষণে সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়িত হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইলিশের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
১৬-২২ মার্চ ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের বিশাল উপকূলসহ মোহনা এলাকাগুলো ইলিশের বিচরণক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মাছ প্রাকৃতিকভাবে বংশ বিস্তার করলেও পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে তিনি মনে করেন।
Advertisement
মো. আবদুল হামিদ আরও বলেন, ‘জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদফতরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী ও জেলে সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ সফল ও স্বার্থক হয়ে উঠবে – এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৬ থেকে ২২ মার্চ ‘‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৯’’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘‘কোনো জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।
এফএইচএস/এনডিএস/পিআর
Advertisement