সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘ ৬ বছর থেকে বাংলাদেশিদের শ্রমিক ভিসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রমবাজারে সরাসরি ভিসা প্রদান বন্ধ থাকলেও গত এক বছর থেকে অনেকটা সহজ করা হয়েছে ভ্রমণ ভিসা। আমিরাতের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত না গেলে কিংবা ভিসা না লাগালে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাদের।
Advertisement
ভ্রমণ ভিসায় এসে কিছু সংখ্যক লোক ইনভেস্টর ভিসা লাগিয়ে বৈধ হচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। আবার অনেকে ভিজিটের নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে ইনভেস্টর ভিসা না লাগিয়ে এখানে থেকে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের জন্য বাসযোগ্য নয়।
আমিরাত সরকার ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ দিয়েছিল। একই সঙ্গে ২০১৯ সালে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের কাজ না দেয়ার জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে, একটি প্রতিষ্ঠান আইন অমান্য করে স্পন্সরশিপ ছাড়া একজন শ্রমিককে কাজে রাখার অপরাধে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবুধাবির সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১২ লাখ টাকা) জরিমানা ধার্য করেন এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী কর্মীকে ২ মাসের জেল ও দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন।
Advertisement
আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জরিমানা ও শ্রমিকের জেল হওয়ার সংবাদটি স্থানীয় ইংরেজি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে এখানকার প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি সতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে ভ্রমণ ভিসায় এসে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের মধ্যে এ রকম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ভ্রমণ ভিসায় কাজ করা যাবে না। এ ভিসা শেষ হবার পর ভ্রমণকারীকে অবশ্যই দেশ ত্যাগ করতে হবে। নতুবা দেশটির আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। যে কোম্পানি ভ্রমণকারীকে রাখবে সেই প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হবে।
২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে প্রথমে তিন মাসের ও পরে আরো দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছিল আরব আমিরাত সরকার। ‘বৈধতা নিশ্চিত করে নিজেকে সুরক্ষিত করুন’ এই স্লোগানে ঘোষিত সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা চাইলে নামমাত্র ফি দিয়ে তাদের কাগজপত্র বৈধ করা অথবা কোনো জেল-জরিমানা ছাড়াই আমিরাত ছাড়ার সুযোগ ছিল।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement