খেলাধুলা

‘অচেনা’ তৌহিদের ব্যাটে গাজী গ্রুপের প্রথম জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে খেলেছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। তাও সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৩টি ম্যাচে। দুই ইনিংসে ব্যাটিং পেয়ে করতে পেরেছিলেন মাত্র ৩৬ রান। যে কারণে চলতি মৌসুমে তাকে ছেড়ে দিয়েছে শাইনপুকুর, সুযোগ পেয়ে দলে নিয়ে নেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

Advertisement

আর নতুন দলের হয়ে চলতি মৌসুমের শুরুটা কী দুর্দান্তই না করলেন রাজশাহীর ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। মঙ্গলবার তৌহিদের ব্যাটেই চলতি লিগে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। বিকেএসপির বিপক্ষে ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ।

লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছিল গাজী গ্রুপ। সে ম্যাচে দলকে বলার মতো পুঁজি এনে দেয়ার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৫৬ রান করেছিলেন তৌহিদ, কিন্তু থাকতে হয়েছিল পরাজিত দলেই।

তাই দ্বিতীয় ম্যাচে নিজে দায়িত্ব নিয়েই অপরাজিত ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন তৌহিদ। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে বিকেএসপির করা ২৪৯ রানের লক্ষ্যটা ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে গাজী গ্রুপ।

Advertisement

ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় বিকেএসপি। দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই পান ৩০+ রানের ইনিংস। ওপেনার রাতুল খান আহত অবসর হওয়ার আগে করেন ৩৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এছাড়া আমিনুল ইসলাম অপরাজিত ৬৩ এবং শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রানের ইনিংস। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অঙ্কে যেতে না পারায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি বিকেএসপি।

২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে গাজী গ্রুপ। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩ এবং ফর্মে থাকা রনি তালুকদার ফেরেন ১৫ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান এবং শামসুর রহমান শুভ।

রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন দুজনই। ইনিংসের ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৩ রান করেন শুভ। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে ৭০ রান করেন মেহেদি। মাঝে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রাসুল।

Advertisement

ইনিংসের ৪০তম ওভারে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান শামসুল ইসলাম যখন ফিরে যান, তখন শেষের ৬৪ বলে আরও ৬৫ রানের প্রয়োজন গাজী গ্রুপের। মনে হচ্ছিলো শেষ ৪ উইকেট নিয়ে এ রান করতে পারবে না তারা।

কিন্তু বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনিকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তৌহিদ। আবু হায়দার খেলেন ২৪ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস। ম্যাচের নায়ক তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ৩টি করে চার-ছক্কার মারে ৭৬ রান।

এসএএস/পিআর