একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান শপথ নিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরাম।
Advertisement
শনিবার (২ মার্চ) জাগো নিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তারা দুইজন ৭ মার্চ শপথ নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতিফুল বারী হামিম জাগো নিউজকে বলেন, এ দুইজনের শপথ নেয়া কিংবা সংসদে যাওয়ার বিষয়ে দলগতভাবে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা যদি সংসদে যায় তাহলে এটা হবে তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যদি তারা দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে শপথ নিয়ে সংসদে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট সাত আসনে জয় পায়। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরাম দুই আসনে জয় পায়। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মনসুর এবং গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে মোকাব্বির খান নির্বাচিত হন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ পাঁচজন নির্বাচিত হন।
গত ৫ জানুয়ারি গণফোরামের এক বর্ধিত সভায় গণফোরামের দুই সদস্য এমপি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ড. কামাল। তবে পরদিন এক বিবৃতিতে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনৈক্য নেই বরং ৩০ ডিসেম্বর প্রশাসনের পর ভোটের অধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্য আগের চাইতেও আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। এখানে আমরা আবারো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেদিনই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এআর/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement