রাজধানীর বকশীবাজারের জয়নাগ রোডে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু হয়েছে। এর আগে সকালে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান স্থগিতে বাধ্য হয়।
Advertisement
অভিযান স্থগিতের এ সংবাদ শুনে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি যাবো, কে বাধা দেবে আমি দেখবো’। এরপর মেয়রের উপস্থিতিতে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান আবারও শুরু হয়।
পুলিশের চকবাজার থানা জানিয়েছে, শনিবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের একটি দল জয়নাগ রোডের একটি আবাসিক ভবনে কেমিক্যালের গোডাউন খুঁজে পায়। ভবনটির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীরা স্লোগান দিতে থাকে এবং তাদের তোপের মুখে অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হয় টাস্কফোর্স।
দুপুর ১টা ২০ মিনিটে এ সংবাদ কানে আসে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের। তিনি তৎক্ষণাৎ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, একদল অসাধু ব্যবসায়ী অভিযানে বাধা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
অভিযানে সিটি কর্পোরেশনের গঠিত টাস্কফোর্সের টিম-৩ অংশগ্রহণ করেন। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। অভিযানে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাসহ তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা ও ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদফতর ও চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৭১ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হচ্ছে।
তাই পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে কেমিক্যাল সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল সরানোর অভিযান।
অভিযানের প্রথম দিনে রাজধানীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদনগর এলাকায় ১৩টি ও ইসলামবাগ এলাকার ৮টি ভবনের গ্যাস, পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর শনিবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের ৪টি টিম একই অভিযানে যায়।
Advertisement
এআর/বিএ/এমকেএইচ