গোলাকৃতির লেজ, দৈর্ঘ্যে সাত ফুট- এমন একটি মাছ গত সপ্তাহে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি সান্তা বারবারার কোল অয়েল পয়েন্ট রিজার্ভে দেখা যায়। প্রথমদিকে গবেষকরা ভেবেছিলেন এটা সানফিশেরই পরিচিত কোনো প্রজাতি হবে।
Advertisement
তবে একটি নেচার সাইটে মাছটির ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন যা ভাবাছিল সেখানে কিঞ্চিত ভুল রয়েছে। তারা বুঝতে পারেন এটা আসলে হুডউইঙ্কার সানফিশ; যার বাস পৃথিবীর আরেক প্রান্তে, এর আগে উত্তর আমেরিকাতে এ প্রজাতির মাছ দেখা যায়নি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার কোল অয়েল পয়েন্ট রিসার্ভ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ জেসিকা নিলসন মাছটিকে আহত অবস্থায় দেখতে পান। প্রথম দেখায় মাছটির অদ্ভূত কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে তার। তাই বেশকিছু ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরদিন ছবি দেখে তার সহকর্মী থমাস টার্নার স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সেখানে হাজির হন। নিলসনের তোলা ছবিটা আইন্যাচারালিস্ট নামে একটা সাইটে পোস্ট করেন টার্নার। মৎসবিজ্ঞানী রাল্ফ ফোস্টার ছবিটি দেখে বলেন, এটি হুডউইঙ্কার সানফিশ প্রজাতির মাছ।
সমুদ্র গবেষক মেরিয়েন নাইগার্ড বলেন, মাছটির ছবি দেখার পর আমার আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে, এটা হুডউইঙ্কার নয়। সচরাচর এর দেখা মেলে না। তাই প্রথমে দেখায় বিশ্বাসই করতে পারিনি।
Advertisement
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড অয়্যার মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের সমুদ্র বিভাগে কাজ করেন নাইগার্ড। ২০১৭ সালে তিনি এ প্রজাতির মাছ আবিষ্কার করেন। হুডউইঙ্কার সানফিশের অবস্থান ও নাম জানার জন্য বেশ কয়েক বছর ব্যয় করেছেন নাইগার্ড।
তিনি বলেন, সব ধরনের বড় মাছ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চিলিতে পাওয়া যায়। রেকর্ড ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৮৯০ সালের দিকে নেদারল্যান্ডসে হুডউইঙ্কার সানফিশ দেখা যায়।
নাইগার্ড সিএনএনকে বলেন, পাঁচ ধরনের নোনা পানির মাছ আছে। এসব মাছ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। হুডউইঙ্কার সানফিশ সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে থাকতে পছন্দ করে।
এনএফ/এমএস
Advertisement