আন্তর্জাতিক

শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিতে মোদিকে আহ্বান ইমরানের

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পিটিআইয়ের এক খবরে বলা হয়েছে, রোববার পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার প্রতিজ্ঞায় অনড়। ভারত যদি পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানিদের জড়িত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদির উচিত দু'দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ দেওয়া।

আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র অরুণাচল, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইমরান খানকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলাম, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক লড়াই হয়েছে। একটাতেও পাকিস্তান জিততে পারেনি। এবার লড়াই হোক নিরক্ষরতা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিমান ছিনতাইয়ের খবর

তিনি বলেছিলেন, আমি পাঠানের ছেলে। সত্যি কথা বলি। সঠিক কাজ করি। তাই যদি হয় তাহলে উনি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তার ওই বক্তব্যের পর এবার মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।

ইমরানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ওই হামলার বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারলে তারা অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত করবে। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাবকে খোড়া যুক্তি বলে উল্লেখ করেছে ভারত।

আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরে সংঘর্ষ, এবার পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত

Advertisement

কারণ জয়েশ-ই মোহাম্মদ এবং এর নেতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানের। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে এটাই পাকিস্তানের জন্য যথেষ্ট প্রমান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুম্বাই হামলার প্রমাণ পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও ওই মামলায় গত ১০ বছরে কিছুই করেনি পাকিস্তান।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলায় ভারতের সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। তারপর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকেই দায়ী করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের তরফ থেকে বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

টিটিএন/আরআইপি