মুহূর্তের অগ্নিকাণ্ড কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার বাস্তব প্রমাণ পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে সবকিছু যেন অঙ্গার।
Advertisement
৭০টি তাজা প্রাণের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গার হয়েছে বাড়ি-গাড়ি, সাইকেল-রিকশা, মোটর যান, কোনো কিছুই যেন বাদ যায়নি। এমন হিংস্রতা সচারচার চোখে পড়ে না।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় শোকে কাতর পুরো জাতি। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল আগুনের লেলিহান শিখা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, চুড়িহাট্টা মোড়েই দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। পুড়ে অঙ্গার হওয়া গাড়িটি এখনও চুড়িহাট্টা মোড়েই রাখা হয়েছে। গাড়িটির সামনের ও পেছনের কোনো অংশই অক্ষত নেই। পুরোটাই পুড়ে বাদামি রঙ ধারণ করেছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও পোড়া ধোঁয়া বের হচ্ছে গাড়ির ভেতর থেকে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমদ খান জাগো নিউজকে বলেন, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত সেটা তদন্তের পর বলা যাবে। কিন্তু যতটুকু আমরা শুনেছি, এই প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর ভবনের একটি অংশে আগুন লাগে। পাশে একটি খাবারের হোটেল ছিল, সেখানে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার হতো। এছাড়া হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায় কেমিক্যালের মজুদ ছিল। ছিল প্লাস্টিক দানার মতো অতি দাহ্য পদার্থ। এ কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অত্যন্ত সরু গলি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা গাড়িটি সরিয়ে নেবে। ওই গাড়িটি ছাড়াও সেখানে আরও একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাও পুড়ে অঙ্গার হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এআর/এসআই/খালিদ ভাই/এমএআর/আরআইপি
Advertisement