নদীর তীরের মাটি কেটে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। দুদকের হটলাইনে (১০৬) এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জেলায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ পরিবেশ বিপর্যয়কারীকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার কুমিল্লার দেবিদ্বারের গোমতী নদী, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ নদী, বগুড়ার শিবগঞ্জ নাগর নদীর তীর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
কুমিল্লা দেবিদ্বারে গোমতী নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চালান দুদকের উপ-পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ ও স্থানীয় প্রশাসন। এসময় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া দুটি ট্রাক্টর ও দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়।
ঝিনাইদহ অভিযানকালে দেখা যায় কালিগঞ্জ নদীতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসময় একজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন যশোর দুদকের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে একটি টিম।
Advertisement
একই সময় বগুড়ার শিবগঞ্জ নাগর নদীর তলা খুঁড়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপপরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম। তাৎক্ষণিক চার ম্যানেজারকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড এবং মোট আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ বিধ্বংসী অপরাধ থেকে যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করছে, তাদের সম্পদের হিসাব বের করে দুদক শিগগির আইনি ব্যবস্থা নেবে। পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় এ অভিযান আরও চলবে।’
এমইউ/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement