নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের একটি গল্প শুনিয়েছেন। গল্পটা একটা অশিক্ষিত মেয়েকে নিয়ে।
Advertisement
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় পর্যায়ে নিয়োগ করা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে এ প্রশিক্ষণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে কথা বলেন চার নির্বাচন কমিশনার। এ সময় নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম গল্পটি শোনান।
কবিতা খানম বলেন, “একটা গল্প বলতে চাই-ঠিক গল্প না। আমাদের দেশের নাগরিকদের চাওয়া-পাওয়া, অভিব্যক্তি। একটা অশিক্ষিত, নিম্নবিত্ত মেয়ের মুখ থেকে আমি যেটা শুনেছি। তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে ভোট দিয়েছে কি না। তার বাড়ি সুদূর উত্তরবঙ্গের একটি জেলায়। সে থাকে ঢাকায়, গার্মেন্টসে কাজ করে। সে আমাকে জানিয়েছিল যে, ভোটের সময় বাড়ি গিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘ভোট দিয়েছ?’, ‘হ্যাঁ’-উত্তর দেয় মেয়েটি।
কমিশনার--‘সংসার ভালো চলে না, উপার্জনও ভালো নয়। তাহলে এত খরচ করে কেন বাড়িতে গেলে? তার উত্তর ছিল, ‘আমি এ দেশের নাগরিক, সুতরাং আমি তো ভোট দিতে বাড়িতে যাবই।’ অথচ সেই মেয়েটা অশিক্ষিত।”
Advertisement
এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কবিতা খানম বলেন, ‘এ কথাটা বললাম এ জন্য যে, প্রতিটি নাগরিক যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করার প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছেন, তারা যেন তাদের ভোটাধিকারটা, বিশেষ করে তাদের মতামত স্বাধীনভাবে ফেলার সুযোগ পায়। কোনো ধরনের হতাশাগ্রস্ত যেন না হয়, ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে যেন ফিরে যেতে না হয়। এটাও এনশিওর (নিশ্চিত) করার দায়িত্ব আপনার।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলায় যারা নিয়োজিত আছেন, তারা যেন পক্ষপাতহীনভাবে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব প্রতিপালন করেন সেটা দেখার দায়িত্বও আপনাদের। নির্বাচন কমিশন যেকোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হলে জবাবদিহিটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি আপনাদেরই। তাই বলব, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনারা সঠিকভাবে প্রতিপালন করবেন। একটা সুষ্ঠু ও আইনানুগ নির্বাচন করার জন্য যা কিছু করার দরকার, সবকিছুই করবেন। নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে আছে।’
পিডি/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement