জাতীয়

সৃষ্টিতেই বেঁচে থাকবেন আল মাহমুদ

‘কোন এক ভোরবেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারেমৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্ততুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারেভালো মন্দ যা ঘটুক মেনে নেব এ আমার ঈদ।’

Advertisement

হ্যাঁ, কবির আজ ঈদ। কবিতায় যেভাবে চেয়েছেন সৃষ্টিকর্তাও সেভাবে শুক্রবারে কবিকে ডাক দিয়েছেন। কিন্তু ভক্তকুলের হৃদয়ে কি ঈদ বইতে পারে? শোকার্ত সোনালী কাবিনের স্রষ্টার ভক্তরা। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাদের। প্রকৃতিও যেন আজ শোকে মুহ্যমান। মেঘলা আকাশ যেন কবির বিদায়ে ব্যথিত।

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদের বিদায়ে অমর একুশে বইমেলাও যেন বইছে শোকের মাতম। মেলায় আগত লেখক-পাঠক ভক্তকুলের মুখেও কবি বিয়োগের আলোচনা।

শনিবার বিকেলে বইমেলায় গিয়ে দেখা যায় মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মুখেও কবির রেখে যাওয়া সৃষ্টির বন্দনা। ইকরাম হোসাইন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, তিনি যা লিখে গেছেন তাতেই তিনি বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু শেষ সময়ে আমরা কবিকে বুঝতে পারিনি।

Advertisement

ফারহান ইসলাম নামে তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বাঙালিরা কবিকে রাজনীতির মারপ্যাচে আলাদা করে ফেলছি। এটা ঠিক না। তার মতো কবি বাংলা সাহিত্যের জন্য আর্শীবাদ ছিল। তিনি তার কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।

ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, কবি আল মাহমুদের তুলনা তিনিই। তার লেখনি আমাদের নতুন করে পথ দেখিয়েছে। তিনি তার সৃষ্টিশীলতায় বেঁচে থাকবেন। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।

এমএইচ/এমএমজেড/এমকেএইচ

Advertisement