একুশে বইমেলা

জমজমাট বইমেলা

যেন যৌবন পার করছে অমর একুশে বইমেলা। লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমজমাট মেলা প্রাঙ্গণ। দলবেঁধে আসছেন আর বই কিনছেন বইপ্রেমীরা। পুরো মেলাজুড়ে যেন তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। সর্বত্রই দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি।

Advertisement

শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই বইমেলা তার চিরচেনা রূপ পেয়েছে। সকালে ছিল শিশু প্রহর। শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতি মেলাকে করেছে প্রাণবন্ত। বিকেলে সব শ্রেণি-পেশার, সব বয়সী মানুষের যেন মঞ্জিল ছিল বইমেলা।

বিকেল ৩টায় অমর একুশে বইমেলার দ্বার খোলার পর থেকেই মেলায় প্রবেশ করতে থাকেন দর্শনার্থীরা। বেলা যত বেড়েছে মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বেড়েছে। দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় প্রবেশ করতে যেন কোনো ক্লান্তি নেই দর্শনার্থীদের। ভেতরে প্রবেশ করেই টার্গেট করে গিয়েছেন প্রকাশনাগুলোতে। কিনেছেন প্রিয় লেখকের বই।

দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে আজ মেলায় বেচাবিক্রিও হয়েছে বেশ। সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রকাশনাগুলোতে থাকা বিক্রয়কর্মীরা। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখেও।

Advertisement

অনিন্দ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আরিফ বলেন, ‘মেলায় আজ দর্শনার্থী অনেক বেশি। বেচাবিক্রিও হচ্ছে খুব ভালো। আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

মেলায় আজ যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগেরই হাতে বই দেখা গেছে। খালি হাতে খুব একটা ফিরছেন না পাঠক। পছন্দের বই পেলেই কিনে নিচ্ছেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা আক্তার বলেন, ‘আজ ছুটির দিন থাকায় বন্ধুদের নিয়ে বইমেলায় এসেছি। বাংলা একাডেমি অংশ ঘুরে এসেছি। এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ থেকে মৌলিক কিছু বই কেনার টার্গেট আছে।’

বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ছাত্রী নাবিলা ইসলাম বলেন, ‘হুমায়ুন আহমেদের দুটি বই কিনেছি। পছন্দের বই পেলে আরও কিছু কিনব।’ তিনি বলেন, ‘সময় পেলেই মেলায় আসি। বইমেলায় না আসলে ভালো লাগে না।’

Advertisement

এমএইচ/এএসএস/এসআর/এমকেএইচ