ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রঙের নতুন রেল কোচগুলোর প্রথম চালান সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছেছে।
Advertisement
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আমদানিকৃত কোচের ১৫টি রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় যান্ত্রিক নিরীক্ষণ। আর মঙ্গলবার থেকে এসব কোচ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম ও প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বণিক কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।
সূত্র জানায়, ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। অত্যাধুনিক এসব কোচ নির্মাণ করছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ (কোচ) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা)। ওই প্রতিষ্ঠানে মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্যও আরো ২০০টি কোচ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ব্রডগেজ লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানিতে ব্যয় হয় ২১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। কোচগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন, আধুনিক ও এর আসনগুলো খুব আরামদায়ক। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এগুলো। বলা হচ্ছে এর আগে এত দ্রুত গতির ট্রেন বাংলাদেশে চলেনি।
Advertisement
এছাড়া বিমানের মতো বায়োটয়লেট সংযোজন করা হয়েছে এসব কোচে। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়বে না মানববর্জ্য। ফলে ট্রেনটি হবে পরিবেশবান্ধব।
এসব কোচের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করতে এরই মধ্যে ইন্দোনেশীয় ১১ জন বিশেষজ্ঞ এসেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক প্রকৌশলীরা কোচগুলোর হাইড্রলিক ব্রেক ও যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন।
মার্চ মাসে ওই কোচগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু হবে। এর মাঝে বাকি কোচগুলো আনা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। যাবতীয় নিরীক্ষণ শেষে এ কোচগুলো দিয়ে চালানো হবে আন্তঃনগর ট্রেন।
জাহিদুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম
Advertisement