অভাবের সংসার আজিবর বিশ্বাসের। ঠিকমতো সংসার চালাতে হিমশিম খান। তবে মেয়ে বেবী নাজনীনকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান খরচ দিতে পারেন না বাবা।
Advertisement
তবুও বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেনি বেবী নাজনীন। হঠাৎ ওসিকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে মেয়েটি। জাগো নিউজকে এসব কথা জানান কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মেয়েটিকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে জানায়, প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বাইসাইকেলে হাত দেয়ার জন্য বকাবকি ও ঝগড়া করেছে। স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবা খরচ দিতে পারেন না। আমি কি করবো। তখন তাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলি। আমারও সন্তান রয়েছে। নিজের সন্তান ভেবে মেয়েটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাইসাইকেল কিনে দিয়েছি। সাইকেলটি পেয়ে মেয়েটিও খুব খুশি হয়েছে।
বেবী নাজনীন কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের আইচপাড়া আজিবর বিশ্বাসের মেয়ে ও কয়লা ইউনিয়নের মির্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
Advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলারোয়া থানা চত্বরে ওসির দেয়া বাইসাইকেলটি গ্রহণকালে তার মা লিলিমা বেগমসহ থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেবী নাজনীনের মা লিলিমা বেগম বলেন, বাবা ভ্যানভাড়া দিতে না পারলেও মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেনি। পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতো। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করেই মেয়েটি কাউকে কিছু না বলেই ওসি স্যারকে ফোন করে। ওসি স্যারও সমাধান করে দিয়েছেন। এখন আর কারো সঙ্গে ঝগড়া হবে না বেবীর।
আকরামুল ইসলাম/এএম/পিআর
Advertisement