মাদক ও অস্ত্রের সব মামলার চার্জশিট এক মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
একই সঙ্গে নরওয়ে প্রবাসী ড. নুরুল ইসলাম শেখকে মাদক মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের এক নাগরিকসহ চারজনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই (মামলার বাদী) আব্দুল হালিমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মাদক মামলার তদন্ত ও তদারকি করার জন্য সেল গঠনে পুলিশের মহাপরিদর্শকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের নাগরিক নুরুল ইসলাম শেখের আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস বাদল জাগো নিউজকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় করা মাদক মামলায় জারি করা রুলের শুনানিতে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী। এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে তদন্তে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে তদন্ত শেষ না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক ও দেশের সব এসপিকে এ আদেশ বাস্তাবায়ন করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
আইনজীবী কাজল জানান, ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে থানা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এসআইকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর এসআই আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
জামিন শুনানিকালে আদালত দেখতে পান, নুরুল ইসলাম একজন নরওয়ে প্রবাসী এবং পিএইচডি হোল্ডার। দশ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করায় আদালত বিষয়টি তদন্ত করে গাজীপুরের এসপিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই গত ১০ ডিসেম্বর নুরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গাজীপুরের এসপির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এস আই আব্দুল হালিকে তলব করেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/আরএস/পিআর