সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যারা নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছেন, তাদের হাতেই আক্রান্ত আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ে।
Advertisement
গত শনিবার দেশটির এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ চার কর্মী। এর প্রতিবাদে হেলমেট পরে বিজেপি নেতাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন রায়পুরের সাংবাদিকরা।
বিজেপির রায়পুরের জেলা সভাপতি রাজীব আগারওয়ালের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন সুমন পাণ্ডে নামের এক সাংবাদিক। শনিবার বিজেপি দফতরে একটি বৈঠক ছিল। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই বৈঠকে।
আরও পড়ুন : তিস্তা নিয়ে শিগগিরই সমাধান : সুষমা স্বরাজ
Advertisement
দেশটির একটি গণমাধ্যম বলছে, অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সুমন পাণ্ডে হাজির ছিলেন বিজেপি দফতরে। বৈঠক চলাকালীন নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতারা। সেসময় নিজের মোবাইলে সেই দৃশ্য রেকর্ড করছিলেন সাংবাদিক।
বিজেপি নেতারা সেটা দেখতে পেয়ে, ওই সাংবাদিককে ভিডিও রেকর্ডিং বন্ধ করতে বলেন। এরপর তার ফোন কেড়ে নিয়ে তা ডিলিট করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং মারধর শুরু করেন। যদিও এই ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছেন রাজ্যের নেতারা।
তাদের সাফাই, বৈঠকের গোপন ছবি তোলার অধিকার সাংবাদিকের নেই, কিন্তু তিনি সেকাজই করছিলেন। তাই কর্মীরা রেগে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও সুমনের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রায় হাজার কোটি টাকায় মেয়ের বিয়ে, মার্চে ছেলের
Advertisement
কিন্তু এতেও ক্ষোভ মেটেনি রায়পুরের সাংবাদিকদের। তারা রাজীব আগারওয়াল নামে মূল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন আইন আনার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
রায়পুরে বিজেপি নেতাদের অনুষ্ঠানে এখন অধিকাংশ সাংবাদিকই যাচ্ছেন হেলমেট পরে। তাদের দাবি, নিজেদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল দোষীদের শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এসআইএস/এমকেএইচ