চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এমদাদুল হক নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পর আবাসিক হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিস ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার রাতে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেয়া হয়।
Advertisement
এমদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজাদুর রহমান আজাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির রহমান, সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মুজাহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আল আমিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের অর্ণব বড়ুয়া, নয়ন মধুক, লোকপ্রশাসন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শাহ জামান।
দুটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে ঢুকে এমদাদকে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়।
Advertisement
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বছরে কারও সঙ্গে কোনো কথা কাটাকাটিতেও জড়াইনি। এএফ রহমান হলের আমার বরাদ্দকৃত ৪০১ রুমে ছাত্রলীগ পরিচয় দেয়া একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে তারা আমার বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে ও অনেক অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর কার্ড দেখালেও আমাকে ভুয়া শিক্ষার্থী বলেছে। আমাকে মারধর করেছে সমস্যা নাই। কিন্তু আমার বাবা যিনি জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তাকে অসম্মান করা হয়েছে। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও হাটহাজারী থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আব্দুল্লাহ রাকিব/আরএআর/পিআর
Advertisement