সপ্তাহ গড়াচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। ১৯৮৪ সালে ‘অমর একুশে বইমেলা’ নামে যে মেলার আয়োজন, তাতে এখন বেশ পূর্ণতা এসেছে। অধিক প্রাণের নিঃশ্বাস ফেলতে মেলার আঙিনাও বিস্তৃত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও জায়গা করে নিয়েছে।
Advertisement
মাসব্যাপী বইমেলা ঘিরে নানা আয়োজনও গুরুত্ব পাচ্ছে। আবার কিছু আয়োজনকে উপলক্ষ করেই জমে উঠে মেলা। বিশেষ করে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরেই মেলার পূর্ণতা আসে।
এবারে শুরুতেই জমেছে মেলা। উদ্বোধনের দিন শুক্রবার আর পরের দিন শনিবার থাকায় এ দু’দিন মানুষের ঢল নামে মেলা প্রাঙ্গণে। বিক্রি কম থাকলেও দর্শনার্থীর কমতি নেই। তবুও মধ্য সময়ের অপেক্ষা প্রকাশকদের। প্রকাশকরা প্রহর গুণছেন বসন্তবরণ আর ভালোবাসা দিবসের।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ। এর পরের দিনই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দু’দিনে বইমেলা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। গত কয়েক বছরে লক্ষ করা গেছে, এই সময়ে কানায় কানায় ভরে যায় মেলার আশপাশের এলাকাও। তরুণ-তরুণী, প্রেমিক-প্রেমিকারা এ দু’দিনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন আগে থেকেই। সাজে, পোশাকে নিজেদের রাঙিয়ে নেন মেলার রঙে। বই-ও বিক্রি হয় রেকর্ডসংখ্যক।
Advertisement
এবারের মেলায় ‘কামনা বাসনালয়’ নামে প্রথম বই বের হচ্ছে প্রচ্ছদশিল্পী আইয়ুব আল আমিনের। বইটি ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণের দিন প্রকাশিত হবে। এই প্রচ্ছদশিল্পী বলেন, প্রথম বই। আনন্দ তো মিলছেই। সেই আনন্দ আরও ঘনীভূত করতে বসন্তবরণের দিন বইটি প্রকাশ করতে চাইছি। বলতে পারেন ১ ফাল্গুন উপলক্ষও বটে।
সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনী সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, মাসব্যাপী আয়োজন হলেও মেলা জমে উঠার জন্য আমরা সাধারণত মধ্য সময়ের অপেক্ষা করি। বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পর থেকেই মেলায় পূর্ণতা আসে, যার ধারাবাহিকতা থাকে শেষ দিন পর্যন্ত।
তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন লেখক, গবেষক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিশেষ একটি দিবসকে কেন্দ্র করে বইমেলার গুরুত্ব পাওয়া মানে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির দৈন্যতা।
Advertisement
‘সাহিত্য-সংস্কৃতি পণ্য হতে পারে না। পণ্য মনে করলেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বইমেলার গুরুত্ব পায়’,- তিনি বলেন।
এএসএস/জেডএ/জেআইএম