রাজধানীর শ্যামপুরে কবর থেকে নবজাতকের মরদেহ উত্তোলনের পর তাকে জবাই করে শ্মশানে পূজা দেয়া গ্রেফতার ৫ তরুণকে আটকে রাখা নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বুধবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম। অাবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব গ্রেফতার রুদ্রকুর্মীকে (১৮) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্য চারজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হলেন- শুভংকর চন্দ্র রায় (১৫), বিপুল দাস (১৪), রনক দে (১৩), বিজয় দে (১৬)।
এর আগে সোমবার রাতে নবজাতকের মরদেহ উত্তোলনের এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ওই নবজাতককে আবার শ্মশানে মাটি দেয়া হয়।
জাতীয় পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি-কে সমীর জানান, সোমবার গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে ঠাঁটারীবাজার এলাকার এক হিন্দু দম্পতির ছেলে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের আধা ঘণ্টা পরে ওই নবজাতক হাসপাতালেই মারা যায়। পরে গতকাল বেলা ৩টার দিকে পোস্তগোলা জাতীয় শশান ঘাটে তাকে মাটিচাপা দেয়া হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ১৪-১৫ বছরের কয়েকজন হিন্দু তরুণ মাটি দেয়া ওই নবজাতককে উত্তোলন করে জবাই করে ওই শ্মশানে পূজা দেয়ার জন্য। পরে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তাদের আটক করে শ্যামপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।
Advertisement
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মে শিশুর লাশ মাটি চাপার পরে উত্তোলন করে তাকে জবাই করে পূজা করার কোনো রীতি নাই। এই ঘটনায় শ্মশানের মোহর পলাশ চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
জেএ/জেএইচ/এমএস