রাজনীতি

সৌদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি চায় না সিপিবি

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ একটি গুরুতর ভুল পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছে সিপিবি। দলটির নেতারা বলছেন, সংবিধানে বর্ণিত জোট নিরপেক্ষ নীতি ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি এটা বিশ্বাসঘাতকতা।

Advertisement

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলছেন, সৌদি আরব মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং হানাদার বাহিনীকে অস্ত্র, অর্থ, কূটনৈতিক মদদ দিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ-বিভাজন মার্কিন-সৌদি লবিতে নিজেকে এভাবে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেললো; যা জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি করতে যাচ্ছে বলে গেল রোববার জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১ হাজার ৮০০ সেনা সদস্য মাইন অপসারণে নিয়োজিত হবে। যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের সৌদি আরবের বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

সিপিবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়,একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর জামায়াত নেতা গোলাম আযমসহ একাত্তরের ঘাতকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল সৌদি আরব। একাত্তরের গণহত্যার সহায়তাকারীর দায় থেকে সৌদি আরব মুক্ত নয়। আজ পর্যন্ত সে দেশটি একাত্তরে তাদের কৃতকর্মের ভুল স্বীকার এবং সে কারণে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। বরং সৌদি সরকার উল্টো জামায়াত-শিবিরসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির মদদদাতা হিসেবে সক্রিয় রয়েছে।

এফএইচএস/এনএফ/এমএস