সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা দেয়া হবে মর্মে গত সপ্তাহ থেকে দেশের বেশকিছু নিউজ পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে, আমিরাতে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা দেয়া হবে। কিন্তু বিস্তারিত কোনো তথ্য কোনো পোর্টালে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকরা।
Advertisement
আরও পড়ুন >> ১০ বছরের আবাসন ভিসা দেয়া শুরু করেছে আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা দিচ্ছে- সংবাদটি সঠিক। তবে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়মের চেয়ে একটু ভিন্নতা রয়েছে। আমিরাত হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত একটি দেশ। এই দেশের নীতিনির্ধারকরা খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। বলা যায়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের আইন-কানুন সময়োপযোগী। পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে সেই বিচক্ষণতারই পরিচয় মিলছে।
মূলত যেসব ব্যক্তি আমিরাতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছেন কেবল তাদেরই বসবাসের ক্ষেত্র সহজ করা হয়েছে।
Advertisement
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পাস হওয়া আইনে প্রথমে ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব ব্যবসায়ী শতভাগ ইনভেস্ট করছেন কেবল তাদেরই ক্ষেত্রবিশেষে পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা প্রদান করা হবে।
আরব আমিরাতের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসায় কোনো প্রবাসীর শতভাগ ইনভেস্ট থাকে না। স্থানীয় কোনো না কোনো ব্যক্তির নামে লাইসেন্স করতে হয়। কেবলমাত্র বড় বড় ব্যবসায়ীরা শতভাগ ইনভেস্টর হন। মূলত দুবাই ফ্রি জোনে এককভাবে ব্যবসায়ীরা ইনভেস্ট করতে পারেন। তাদের ব্যবসা মিলিয়ন দিরহামের হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন> সাড়া দিচ্ছে না আমিরাত, সুখবর নেই শ্রমবাজারে
মিলিয়ন মিলিয়ন দিরহামের ব্যবসায়ীদের যদি সাধারণ ব্যবসার ভিসার চেয়ে দুই বছর বেশি সময় দেয়া হয় তাহলে তাদের কোনো ক্ষতি নেই বরং লাভের অংশটাই বেশি। শুধু যে দুবাইয়ের লাভ তা নয়, ব্যবসায়ীদের ভিসা লাগানোর জন্য যে খরচ ও সময় ব্যয় হয় তাও বেঁচে যাবে।
Advertisement
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়নি। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যান তাদের কথা বলা হয়েছে। তবে এখানে দীর্ঘমেয়াদে কোর্স করা শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ১০ হাজার দিরহাম যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক থেকে দুই লাখ টাকা পড়ালেখা বাবদ ব্যয় করতে হবে।
এছাড়া বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ থেকে ১০ বছরের ভিসা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমএআর/এমআরএম/এমএস