ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় জিরাতে ওজন কম দিয়েছিল ইরানি মসলা। এ স্টলের বিরুদ্ধে মেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন মো. রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে ১ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদফতর। অভিযোগকারীকে দিয়ে দেয়া হয়েছে জরিমানার ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৭৫০ টাকা।
Advertisement
বাণিজ্য মেলায় নান্নার বিরিয়ানি হোটেলে এক প্লেট বিরিয়ানি দিতে বললে অর্ধেক প্লেট দেয় দোকানি। তারপর বিলের সময় এক প্লেটের দাম ৯০০ টাকা দাবি করে নান্নার বিরিয়ানি। ভুক্তভোগী নীলা অপরা ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ভোক্তা অধিদফতরের মাধ্যমে সমঝোতায় এসে নীলাকে ৪৫০ টাকা ফেরত দেয় নান্নার বিরিয়ানি।
বাণিজ্য মেলায় রংপুর মেটাল পণ্যের গায়ের মূল্যের ওপর বাড়তি মূল্যের আরেকটি মূল্য লেখে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা রেখেছিল। শান্তানুর রহমান সজীব নামে একজন ব্যক্তি এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করলে রংপুর মেটালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ রকম ছোট-বড় সব ধরনের অভিযোগের প্রতিকার মিলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্টলে। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকার মিললেও সেই তুলনায় অভিযোগ আসছে না। ৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা শুরুর পর থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৩৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সবগুলো অভিযোগই নিষ্পত্তি করেছে ভোক্তা অধিদফতর।
Advertisement
ভোক্তারা সচেতন হলে আরও অভিযোগ বেশি হত। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাদের আরও সচেতনার দরকার আছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জাগো নিউজকে জানান, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে অধিদফতর। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৭ হাজার টাকা অভিযোগকারীদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেলায় ৯টি অভিযান চালিয়ে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম শুধু বাণিজ্য মেলাতেই সীমাবদ্ধ নয়। রাজধানীসহ সারা দেশেই ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয় রয়েছে। দেশের যেকোনো জায়গায় পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলে সংশ্লিষ্ট ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে অভিযোগ করলে প্রতিকার করা হয়।’
পিডি/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement