জাতীয়

ডিজিটালাইজড হচ্ছে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা

দেশে কিংবা বিদেশে বিভিন্ন কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবাসমূহ সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকরা সহজে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (কল্যাণ) মোহাম্মদ ওয়ালিদ বিন কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বরাবর পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবাসমূহ সম্পূর্ণ ডিজিটাল করার জন্য গৃহীত ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেস্টিং অব অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, মাইক্রোসফট অ্যান্ড ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফর কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেস অ্যাট হোম অ্যান্ড অ্যাব্রোড’ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় হতে মোট এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ প্রয়োজন। যা নির্বাহের কোনো যথোপযুক্ত খাত বর্তমান বাজেটে নেই। তবে সাধারণ থোক বরাদ্দ থেকে এ ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে।

Advertisement

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে তা দেশে ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সহজ উপায়ে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা প্রদান করা যাবে। এছাড়া ডিজিটাল এ পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে দেশে ও বিদেশে প্রদত্ত সেবার মান অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। এমন উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ‘ইনোভেশন কমিটি’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৫ অক্টোবর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৮ এর আওতায় কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজড সিলেকশন (কিউসিবিএস)- প্রক্রিয়া সম্পন্নের লক্ষ্যে ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ দাখিলের জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে দাখিল করা ২৫টি এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট যাচাই-বাছাই করে মূল্যায়ন কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মূল্যায়নে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয় এবং ‘রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (আরএফপি)’ এর মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব প্রদানের আহ্বান জানানো হয়। বর্তমানে ‘রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল’সমূহ মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মূল্যায়ন সম্পন্নের পর উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। উদ্যোগটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ অর্থাৎ এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বর্তমান বাজেটে উদ্ভাবক খাত হিসেবে উন্মুক্ত করে সাধারণ থোক বরাদ্দ হতে পুনঃউপযোজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে প্রস্তাবে। এমইউএইচ/এমবিআর/এমএআর/পিআর