ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের অবসান করতে হবে বলে মত দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির জাতীয় কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভার প্রস্তাবে এ মত দিয়েছে দলটি।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এর জন্য ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী উদ্যোগের মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার সহ নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুনভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীন দেশের উপযোগী রাজনীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা ও সংবিধান নিশ্চিত করার জন্য ১০ দফার ভিত্তিতে জেএসডির দলীয় আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৬ ফেব্রুয়ারী ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জেএসডির পক্ষ থেকে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভায়।
Advertisement
সভায় ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে ৩০ ডিসেম্বর যে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে এমন সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন হবে মর্মে ঘোষণার পর জেএসডি দলীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সভায় জেএসডির উদ্যোগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনকে একটি সময়োচিত উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং আগামী দিনে ঐক্যফ্রন্টে থেকে একে আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপজেলা শিল্পাঞ্চল, পৌরসভা, মহানগর ও জেলা সম্মেলন সমাপ্ত করে জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০১৯ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, খোশ লেহাজ উদ্দিন খোকা, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, এম এ আউয়াল, সোহরাব হোসেন, সুলতান আহমেদ বাচ্চু, এস এম আনছার উদ্দিন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, এস এম রানা চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবদুল মোত্তালিব, মনিরুদ্দিন মাস্টার প্রমুখ।
Advertisement
এইউএ/জেএইচ/জেআইএম