চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রভাবে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজার বড় দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে বাজার মূলধন। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দুই শতাংশের উপরে। আর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় এক শতাংশ। সূচক ও বাজার মূলধনের এমন বড় পতনের মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় সাত শতাংশের উপরে বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১২৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
Advertisement
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৪১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৩৯ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০৫টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
Advertisement
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ১৭১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ৮২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩৪৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৯ দশমিক ৭২ শতাংশই ছিল ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ ‘বি’ক্যাটাগরিভুক্ত, দশমিক ৯২ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দশমিক ৯৭ শতাংশ ‘জেড’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬২ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ১৩৩ কোটি ৮৮ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং বিবিএস কেবলস।
এমএএস/এনডিএস/পিআর