কাজী জাফরের সম্পত্তি থেকে জরিমানা আদায়ের নির্দেশ

মৃত্যুবরণ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে তাকে করা জরিমানা আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ হয়।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আপিলকারীর পক্ষে ছিলেন মো. হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া।

মামলার এজাহারে দেখা যায়, এরশাদ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ৯১ দশমিক ৫৮০ মেট্রিক টন গম ও ৪৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আত্মসাত করেন কাজী জাফর আহমেদ। ওই গম ও চালের তৎকালীন সরকারি মূল্য ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৫ টাকা। পরে বিষয়টি তদন্ত করে ১৯৯৪ সনের ১২ জানুয়ারি খুলনা জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক মো. মহীদুল ইসলাম মোল্যা খুলনা দিঘলিয়া থানায় তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির বিচার শেষে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ ১৯৯৯ সনের ২ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কাজী জাফর আহমেদকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৯৭০০০০/( নয় লাখ সত্তর হাজার) টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় রায়ে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কাজী জাফর আহমেদ আপীল করেছিলেন।

মামলায় অন্য দুই আসামী ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন ও সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী মো. সিরাজ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট মারা যান কাজী জাফর।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস