একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়্ত্বি পেয়েছেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। এর আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে বিদেশ সফরে প্রথমে ভারত যাবেন তিনি।
Advertisement
ডয়েচে ভেলে’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। সাক্ষাৎকারে তিনি ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যু-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ভারত হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। আমরা গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে সরকার গঠন করেছি। তাদের সাথে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সংস্কৃতি বলেন, ভাষাগত বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা ভারতের সাথে সম্পৃক্ত। আর এখন আমাদের সবচয়ে উষ্ণ সম্পর্ক।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা একটা বন্ধু দেশ। আমি বন্ধুত্বের কারণে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম সফরে ভারতে যাব, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কটাকে জিইয়ে রাখার জন্য। এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত যাব।
Advertisement
দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো প্রতিবেশী দেশের মধ্যে থাকে। কিন্তু যদি মন উদার থাকে, মন ঠিক থাকে, সম্পর্ক যদি মধুর থাকে, তাহলে সব সমস্যা আপনাতেই শেষ হয়। আমি প্রায়ই বলে থাকি, আপনার বউয়ের সাথে যদি সম্পর্ক মধুর থাকে, আপনার ছোটখাট সমস্যা এগুলো এমনিতেই সামাধান হয়। আর সম্পর্ক যদি তিক্ত হয়, তাহলে ছোট অসুবিধাটাও বড় আকারে দেখা দেয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ভারত ও চীনের বিশেষ ভূমিকা রাখা উচিত। কারণ, মিয়ানমার চীনের কথা শোনে। আর এখানে কোনো অশান্তি বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে ভারতসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিস্তার পানি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং এক পর্যায়ে এটার সমাধানের পথ মোটামুটিভাবে নির্ধারিত হয়েছিল। ওদেরও অসুবিধা আছে, আমাদেরও অসুবিধা আছে। আমরা ইউএন-এতে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, অঞ্চলের অববাহিকায় যারা থাকে তাদের মঙ্গলের জন্য এই ওয়াটার শেয়ারিং হবে। আমার বিশ্বাস, এটা ওরাও যেমন চিন্তা-ভাবনা করছে, আমরাও চিন্তা করছি। এগুলো সমস্যা আর সমস্যা থাকবে না।
এসআর/আরআইপি
Advertisement