দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরবাসীর। কাজিপুরে নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। যমুনার দুইপাড়ে হতে যাওয়া নদী বন্দরের নাম হবে ‘মেঘাই ঘাট-নাটুয়ারপাড়া নদী বন্দর।’
Advertisement
সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বকুল সরকার বলেন, নদী বন্দর প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে এস.আর. ও নং ০৭-আইন/২০১৯ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বিআইডব্লিউটিএ-কে এর সংরক্ষক নিযুক্ত করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা নদী বন্দরের জন্য সীমানা নির্ধারণ করেন।
গেজেটে উল্লেখিত সীমানা হলো (ক) ‘উত্তর সীমা- সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া মৌজার ঢেকুরিয়া হাট সংলগ্ন নদী তীর আড়াআড়িভাবে যমুনা নদী অতিক্রমণকারী অক্ষাংশ। (খ) দক্ষিণ সীমানা-কাজিপুর মৌজার খুদবান্দি নদী ঘাট পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে যমুনা নদী অতিক্রমণকারী অক্ষাংশ। (গ) ভূ-ভাগের উপরিউক্ত সীমানার আওতায় নদীর পূর্বতীরে সাধারণ ভরাকাটাল এর সময় বন্দর এলাকার সর্ব্বোচ্চ পানি সমতল হইতে ভূ-ভাগের দিকে ৫০ গজ পর্যন্ত।’
মোজাম্মেল হক বকুল সরকার আরও জানান, গত বছর কাজিপুরের জনসভায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের কাছে কাজিপুরে নদী বন্দর করে দেবার অনুরোধ করেছিলাম। এক বছর হলেও স্বপ্নটি পূরণ হলো। এটা ‘নিঃসন্দেহে কাজিপুরবাসির জন্য একটি আনন্দের সংবাদ। আমাদের নেতা মোহাম্মদ নাসিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের ৩২তম নদী বন্দরের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এতে করে কাজিপুরে চর-বিড়ার ব্যবধান ঘুচবে এবং অর্থনৈতিকভাবে কাজিপুর সমৃদ্ধ হবে।’
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শওকত হোসেন জানান, ‘আমাদের নেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর স্মৃতিবিজড়িত পূর্ণ্যভূমিতে নদী বন্দর হতে চলেছে। এজন্য আমরা কাজিপুরবাসি আনন্দিত।’
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমএএস/এমএস