ভারতের অাসামের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির অন্যতম নেতৃস্থানীয় ইসলামী সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। শনিবার অাসাম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মোশতাক আনফার কাশেমি চাঞ্চল্যকর ওই অভিযোগ করেন।
Advertisement
রোববার অাসাম থেকে প্রকাশিত এক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বলা হয়, শিলচর তোপখানার জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভাষণ দেয়ার সময় মোশতাক আনফার কাশেমি বলেন, ‘এখনও রাজ্যের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে এমন নারীরা আটকা রয়েছেন; যাদের ধর্ষণও করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাথা-ব্যথা নেই।’
রাজ্যের চলমান জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) নবায়নকে ‘কেয়ামত’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে এই নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন : ভারতে কর্মস্থলে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা
Advertisement
বিজেপিশাসিত অাসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে নারীদের ধর্ষণ প্রসঙ্গে অাসাম জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির কাশেমি বলেন, প্রথম কথা হলো, আগে থেকেই এরকম অভিযোগের কথা শুনে আসছি যে, ডিটেনশন ক্যাম্পে নারীদের শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। আজ খবরের কাগজে প্রচারমাধ্যমে তা উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতিপূর্বে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। আজও আমরা সরকারের কাছে পুনরায় দাবি জানাবো কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে যাতে নারীদের মান-সম্মান সুরক্ষিত হয়। কারণ এটা সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকারবিরোধী কাজ।’
কাশেমি বলেন, প্রথমত এদেরকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে যাদেরকে বিদেশি বলে দোষী সাব্যস্ত করে রাখা হয়েছে; তাদের অধিকাংশ মানুষই আসলে ভারতীয়। সামান্য কিছু অজুহাতে এবং বেশ কিছু লোক যারা কোনো নোটিশ পায়নি একপাক্ষিকভাবে রায় দান করে বিদেশি সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে; যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সেই সাথে এরকম যেসব অভিযোগ উঠেছে, যা একপ্রকার প্রমাণের পর্যায়ে পৌঁছেছে তাও চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে।’
Advertisement
আরও পড়ুন : রাখাইনে ফের নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর আরসার হামলা
সরকার এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলে খুব শিগগিরই তারা নারীদের আটকে রাখা ও শারীরিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য নেতা মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি জানান।
অল অাসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আমসু) উপদেষ্টা ও অাসামের সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের সমন্বয় সমিতির মুখ্য আহ্বায়ক আইনজীবী আজিজুর রহমান বলেন, ‘খবরের কাগজে যা দেখলাম যদি তাই সত্যি হয় তাহলে অাসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের দাবি, শিগগিরই দোসীদের শনাক্ত ও করায়ত্ত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পার্সট্যুডে।
এসআইএস/জেআইএম