ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের শূন্যপদে উপ-নির্বাচন করতে নতুন নাকি পুনঃতফসিল করা হবে- তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য আদালতের আদেশের কপির অপেক্ষায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
যদিও গত ১৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা পুনঃতফসিলের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু ইসির নির্বাচন শাখা বলছে, পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে আদালতের আদেশের উপর। আদেশের কপি ইসির হাতে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সমীচীন হবে না।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, আদালতের আদেশের কপি পেলে বোঝা যাবে ‘ফ্রেশ না কন্টিনিউ’- কোন নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। আদালত যদি আদেশে নতুন বা পুনঃতফসিলের বিষয়টি স্পষ্ট না করে তবে ইসি তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আদালত ‘ফ্রেশ’ নির্বাচন করার কথা বললে পুনঃতফসিল নয়, ইসিকে নতুন করেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ডিএনসিসির শূন্য মেয়র পদ ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। পরদিন ১৮ জানুয়ারি ছিল ওই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর আগে নির্বাচনে প্রার্থী হতে মেয়র পদে ১৯, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১২ ও সংরক্ষিত পদের জন্য ৭১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে মেয়র পদের কেউ মনোনয়ন জমা না দিলেও সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দেন। এমন অবস্থায় ইসি আদালতের নির্দেশনা মেনে ওইদিনই (১৭ জানুয়ারি) ডিএনসিসির মেয়র পদের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে।
Advertisement
এর প্রায় এক বছর পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি আদালত ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে রিটকারীর রিট খারিজ করে দেন। ওইদিন হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বৈঞ্চ স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার এই আদেশ দেন।
পরের দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আগামী মার্চের মধ্যে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন করার ইঙ্গিত দেন।
এইচএস/জেডএ/জেআইএম/ এসজি
Advertisement