চুল কতটুকু লম্বা রাখবেন সেটি আপনার সিদ্ধান্ত, কিন্তু চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক না হলে তাকে সুস্থ চুল বলা যায় না। ঠিকভাবে পুষ্টি না পেলে চুলের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। কিছু সহজ কাজ রয়েছে যার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-
Advertisement
আরও পড়ুন: শীতে ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন
অনেকেই চুলে তেল দেন না কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু করেন। লম্বা চুল পেতে চাইলে শ্যাম্পুর পাশাপাশি তেলের দিকেও নজর দিতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। বালিশে যাতে তেল না লাগে, সেভাবে মাথায় কাপড় বা নরম তোয়ালে জড়িয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে ও চুল সহজে ভাঙবে না। তেল থেকে যেটুকু খাবার চুল পায়, তাও মিলবে।
সিলিকন, সালফাইটমুক্ত কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো। অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু স্টাইল ও ফ্যাশনে সাহায্য করলেও তা আদতে চুলের গোড়ার ক্ষতি করে ও বৃদ্ধি আটকায়। চুল খুব বেশি ঘষাও ভালো নয়। শ্যাম্পুর সময় প্রয়োজনের বেশি চুল ঘষবেন না ও কখনওই গরম পানি দেবেন না চুলে।
Advertisement
কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও বাছাইয়ের বিষয়ে খুব সাবধান হতে হবে। রাসায়নিকমুক্ত ও প্রাকৃতিক তেল যেমন নারিকেলযুক্ত তেল, মধু ইত্যাদি সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় নজর দিতে হবে বালিশের প্রতিও। চুল নিজেই প্রাকৃতিক উপায়ে তেল তৈরি করে তার গোড়াকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু একটানা সুতি, পলিয়েস্টার বা রেয়নের ওয়ারে শুলে চুলের তেল শুষে নেয় তারা। তাই চেষ্টা করুন সিল্কের ওয়ার ব্যবহার করতে। ঘুমানোর সময় চুল বেঁধে নিন।
আরও পড়ুন: শীতে রুক্ষ চুল সুন্দর করার উপায়
চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে গেলে কিছু বিষয় এড়াতেই হবে। খুব বেশি হিট নেয়া চলবে না। এমন কিছু স্টাইলে চুল কাটা, যেখানে প্রচুর কুচো চুল বাদ পড়ে (মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ, ক্রিয়েটিভ কাট ইত্যাদি) এড়াতে হবে তা-ও। এতে চুলের গোছা পাতলা হয় ও সামঞ্জস্য আসা খুবই সময়সাপেক্ষ বিষয় হয়ে ওঠে।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম