খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সময় একটি হোটেল সিলগালা করে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ডিএসসিসির পাঁচটি অঞ্চলে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
অভিযানে অঞ্চল-১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হোটেল সোহেলের মালিক মো. সোহেলকে তিন দিনের, এরোমা স্ন্যাকসের ম্যানেজার খালেদ মনসুরকে পাঁচ দিনের, ডেকো রেস্টুরেন্টের আব্দুল লতিফকে তিন দিনের, মায়ের দোয়া হোটেলের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের এবং রমনা হোটেল ক্যান্টিনের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া রাজধানী হোটেলকে ২০ হাজার, পূর্ণিমা স্ন্যাকসকে ৫০ হাজার, খাবার দাবার পিঠা ঘরকে ১৫ হাজার, হাজী বিরিয়ানিকে ২৫ হাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
অঞ্চল-২ ফকিরাপুল এলাকার আল ইমাম হোটেলের ম্যানেজার আব্দুল জলিলকে তিন দিনের কারাদণ্ড এবং এশিয়া গার্ডেন রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ায় মিতালী রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করা করেন আদালত।
অঞ্চল-৩ পেনাং রেস্টুরেন্টকে এক লাখ, পেনং থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্তোরাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৪ নবাবপুর এলাকার আদি মরণচাঁদ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান এবং মো. মোকাম্মেল হক প্রিন্সকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৫১ এবং ৫৩ অনুযায়ী এ শাস্তি দেয়া হয়। এর আগেও এ দোকানিকে একই অপরাধে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং ভবিষ্যতে এ কাজ না করতে সতর্ক করা হয়েছিল। এছাড়া গোলাপশাহ বেকারিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৫ যাত্রাবাড়ীর নান্না রেস্তোরার ম্যানেজার কবীর হোসেনকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করায় ফল বিক্রেতা মো. ইলিয়াস, মো. চাঁন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে পাঁচ হাজার করে, কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রেতা মো. শফিকে চার হাজার এবং নিউ সুপার নান্না রেস্টুরেন্ট ও আল ইসলাম বিরানি হাউজকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
Advertisement
এএস/এএইচ/এমএস