বুধবার রাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওড়িষ্যার বলাঙ্গীরে এক সভায় যোগ দেবেন তিনি। সে জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করতে গিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে এক হাজার গাছ। এমনই অভিযোগ উঠেছে বলাঙ্গীরে। রোববারের ওই ঘটনা নিয়ে এখন দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে স্থানীয় বন দফতর, রেল এবং পূর্ত দফতরের মধ্যে।
Advertisement
ডিএফও সমীর শতপথী বলছেন, অন্তত এক হাজার গাছ কাটা হয়েছে। রেল দফতরকে এ ব্যাপারে নোটিশ দর্শানো হয়েছে। কার অনুমতিতে এবং কেন এই কাজ করা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে। সহকারী বন সংরক্ষক বাবাজিচরণ রাউল বলেছেন, ডিএফওর নির্দেশমতো একটি দল গিয়ে ওখানে দেখবে কতগুলো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
রেলের জমিতেই ওই গাছগুলো ছিল। কিন্তু তারা এই ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। পূর্ব উপকূল রেলের মুখপাত্র বলেছেন, পিডব্লিউডি হেলিপ্যাড তৈরি করতে পারে। রেল এ সব কাজ করে না। কারা গাছ কাটল, আমরা জানি না। পরে অবশ্য জানানো হয়েছে, রেল এ ব্যাপারে নিজস্ব তদন্ত চালাবে।
গত বছর নভেম্বরেও গাছ কাটার কারণে ওড়িষ্যার বিজেডি সরকার বিজেপি আর কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়েছিল। ঢেঙ্কানলে বিয়ার তৈরির কারখানার জন্য সে বারও প্রচুর গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় নারীরাও এর প্রতিবাদ করেছিলেন।
Advertisement
তবে এবার বিষয়টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে বিজেপি। দলের বিধায়ক রবি নারায়ণ নায়ক বলেছেন, হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। রাজ্যসভার সাংসদ প্রশান্ত নন্দ বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। তিনি যখন যেখানে যাবেন, রাজ্য সরকারকে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ওড়িষ্যা সব সময়ই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যদি গাছ কাটার দরকার পড়ে, তা হলে রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকবে। শাসক দল বিজেডি অবশ্য এই দায় ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়তে চায়নি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, যারা মোদির সফরে ভয় পাচ্ছে, তারাই বন দফতরের নাম ব্যবহার করে উল্টোপাল্টা প্রচার করছে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement