একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আগামী ৩০ জানুয়ারি (বুধবার)। নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যোগ দিতে পারেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
বছরের প্রথম অধিবেশন হওয়ায় এ অধিবেশন দীর্ঘদিন চলবে। আর নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের যাতে সংরক্ষিত নারী এমপিরা যোগ দিতে পারেন -এ জন্য ইসি ও সংসদ সচিবালয় একযোগে কাজ করছে। চলতি সপ্তাহেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০টি মধ্যে সংসদের সরাসরি নির্বাচনে প্রাপ্ত আসন অনুপাতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১টি এবং স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল মিলে ২টি আসন পাবে। তবে দল ও জোটগুলো সমঝোতার মাধ্যমে আসন সংখ্যা কমবেশি করতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী সপ্তাহে সংরক্ষিত মহিলা আসনে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসির সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।
Advertisement
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরাও প্রস্তুতি শুরু করেছি। সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে দল বা জোট সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ পাবে।
সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন ২০০৪ অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের জন্য কমিশন দল ও জোটওয়ারি তালিকা তৈরি করবে এবং ভোটার তালিকা ইসিতে টানিয়ে দেবে। দল বা জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে চিঠি দেবে ইসি সচিবালয়।
নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।
এইচএস/আরএস/এমকেএইচ
Advertisement