রাখাইনে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা শূন্য রেখায় থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে। মিয়ানমারের এই প্রদেশে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করায় উদ্বেগ বাড়ছে।
Advertisement
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই প্রতিবেশি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে অনেকেই এখনো দুই দেশের শূন্য রেখায় অবস্থান করছেন; যারা রাখাইনে ফিরতে চান না।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। রাখাইনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে বিপদে পড়েছেন সীমান্তে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন : ছাত্রীদের যৌনতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং, দুঃখ প্রকাশ
Advertisement
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে সরকারি সৈন্যদের সঙ্গে আরাকান আর্মির প্রচণ্ড লড়াই চলছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। প্রত্যেকদিন বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটছে। আর এতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
গত সপ্তাহে আরাকান আর্মির সদস্যদের হামলায় মিয়ানমার পুলিশের অন্তত ১৩ সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে নিরাপত্তা ক্যাম্প ও বাঙ্কার স্থাপন করেছে। ফলে শূন্য রেখার কাছে অবস্থানকারী প্রায় সাড়ে চার হাজারে রোহিঙ্গার মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
নূর আলম নামে অপর এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, সীমান্তের অন্য পাশে অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথেই প্রায়ই বন্দুকের গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমাদের ক্যাম্পের পাশে নতুন ১০টি চৌকি স্থাপন করেছে। এটি অত্যন্ত ভীতিকর।
সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি।
Advertisement
এসআইএস/পিআর