রাত ৮টা। রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী। অন্যান্য দিন কার্যালয়ের সামনে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি থাকে। ধূমায়িত চায়ের কাপ ও সিগারেট হাতে উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলতে শোনা যায়। কিন্তু আজ চিত্র ভিন্ন। নেতাকর্মীরা কথা বলছেন নিচু স্বরে।
Advertisement
কৌতূহলবশত এগিয়ে গিয়ে বোঝা গেল, ফিসফাঁস করে আলাপরত তরুণদের আলোচনার বিষয়বস্তু মন্ত্রিপরিষদ সচিব ঘোষিত ৪৬ সদস্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।
সেখানে উপস্থিত একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোববার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ঘোষিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর তালিকায় দলের সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতার নাম থাকবে না তা আমরা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারিনি। আওয়ামী লীগের নেতা বলতেই যাদের নাম প্রথম সারিতে চলে আসে তারা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়ায় আজ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস নেই।
একজন তরুণ নেতা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (আপা) যেমন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে চমক দেখিয়েছেন তেমনি তিনি আগামী পাঁচ বছর তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে সরকার পরিচালনা করবেন তা বুঝিয়ে আরেকবার চমক দেখালেন।
Advertisement
দলীয় কার্যালয়ের সামনে চা-কফি বিক্রেতা এক তরুণ বলেন, বিগত সময়ে মন্ত্রীদের নাম যেদিন ঘোষণা করা হয় সেদিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করে, বিক্রিও খুব ভালো হয়। কিন্তু আজ লোকজন কম তাই বেচাকেনা নেই।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে ঘোষিত ৪৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় একঝাঁক নতুন মুখ রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। ৪৬ জনের মধ্যে ৩১ জনই নতুন। নতুন ২৪ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জন নতুন, ১৯ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ১৬ জন এবং উপমন্ত্রী ৩ জনও নতুন।
এমইউ/বিএ/আরআইপি
Advertisement