জাতীয়

দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তে তাক লাগানো মন্ত্রিসভা

দুঃসাহসিক। সময়োপযোগী। তাক লাগানো। তারুণ্যের আধার। শত বিশেষণের বাঁধনে মূল্যায়িত হচ্ছে শেখ হাসিনার এবারের মন্ত্রিসভা। তবে সব অভিধা যেন ফিকে হয়ে আসছে মন্ত্রিসভার নয়া ঝলকে।

Advertisement

চমকের পর চমক। বঙ্গবন্ধুর সহচর আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ বাদ পড়লেন। তাই বলে অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীও। অবিশ্বাস্য! বাদ মতিয়া চৌধুরী। রাশেদ খান মেনন এবং হাসানুল হক ইনু আনুগত্য প্রকাশে আওয়ামী লীগ নেতাদেরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। এত আনুগত্যের পরেও বাদ পড়লেন মন্ত্রিসভা থেকে। ঘটনা, তবে তা যেন অঘটনের সীমাকেও ছাড়িয়ে গেল।

রোববার (৬ জানুয়ারি) সকালেও কে বা জানত এভাবে বিদায় ঘটবে হেভিওয়েট নেতাদের! যারা মন্ত্রী বানানোর সহায়ক হিসেবে কলকাঠি নাড়েন, তাদেরও ঠাঁই মেলেনি। এমন পরিবর্তনেও উচ্ছ্বাসের বন্যা বইছে আওয়ামী লীগে। এমন বিদায়েও বিষাদের ছাপ নেই নেতাকর্মীদের মাঝে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থা রেখেই নতুনে ভরসা পাচ্ছেন তারা।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) ৪৬ জনের মন্ত্রিসভা গঠনের কথা। এবারে যাদের ঠাঁই মিলেছে, তাতে যেন আরও চমক। আনকোড়া, অপেক্ষাকৃত তরুণ, বেশির ভাগই এবার প্রথম আসছেন মন্ত্রিসভায়। ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় এবার নতুনমুখ ২৭ জন। আবার চারজন রয়েছেন যারা সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও এর আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সেই হিসেবে ৩১ সদস্য মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ।

Advertisement

মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান দেখিয়েছেন, তা মূলত জনগণের প্রাপ্য। জনগণেরে প্রতি দায় আরও বাড়বে বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে বিশ্বের বুকে নতুন করে তুলে ধরছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সারথি মাত্র। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাকেই অনুসরণের চেষ্টা করি। যে বিশ্বাস এবং ভরসা থেকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন সে বিশ্বাস ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকব আজীবন।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাদেকা হালিম বলেন, ‘নতুন সরকারের প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ দুর্নীতিরোধ করা। সংসদে কার্যকর বিরোধী দল থাকছে না। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে নতুন কিছু করতেই হবে। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী সব দিক বিবেচনা করেই মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ এগিয়ে যেতে চায়। বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে উন্নয়ন দিয়েই চিনতে পারছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে মন্ত্রিসভায় চমকটা প্রত্যাশিত ছিল। মন্ত্রীরা শপথ নিয়ে জন দায় উপলব্দি করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।’

Advertisement

এএসএস/এএইচ/আরআইপি/এসজি