আন্তর্জাতিক

১ জানুয়ারি বিশ্বে ৩ লাখ ৯৫ হাজার শিশুর জন্ম

নতুন বছরের প্রথম দিনে অর্থাৎ পহেলা জানুয়ারী গোটা বিশ্বে ৩ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করবে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে। আর এই সংখ্যার চার এক-চতুর্থাংশই জন্মাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

Advertisement

ইউনিসেফ এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ঠিক যখনই ঘড়ির কাটা মাঝরাতে পৌছাবে তখনই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ১৬৮, জাপানের টোকিওতে ৩১০, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ৬০৫, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ১৬৬ ও নিউ ইয়র্কে ৩১৭ শিশুর জন্ম হবে।

ইউনিসেফের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম শিশুটি জন্মাবে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে আর শেষ শিশুটি জন্মাবে যুক্তরাষ্ট্রে।

ইউনিসেফ অনুমান করছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে ভারতে ৬৯ হাজার ৯৪৪, চীনে ৪৪ হাজার ৯৪০, নাইজেরিয়ায় ২৫ হাজার ৬৮৫, পাকিস্তানে ১৫ হাজার ১১২, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ হাজার ২৫৬, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার ৮৬, কঙ্গোতে ১০ হাজার ৫৩ এবং বাংলাদেশে ৮ হাজার ৪২৮ শিশু জন্মগ্রহণ করবে।

Advertisement

তবে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে বছরের প্রথম দিনে জন্ম নেয়া ১০ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। আর জন্ম নেয়ার ঠিক এক মাসের মধ্যে আরও ২৫ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, এসব শিশুর মধ্যে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছিল নিরাময়যোগ্য নানান রোগে। যেমন- জন্মের আগে ভোগা রোগ, প্রসবকালীন জটিলতা, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য রোগ। আর এর মাধ্যমে তারা তাদের বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ইউনিসেফের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ক্যারলোটে পেত্রি গর্নিৎজকা বলেন, ‘এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে আমাদের সবার অঙ্গিকার করতে হবে, যেন প্রত্যেকটা শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। আর সেটার শুরু হোক শিশুটির বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা লাখ লাখ শিশুকে বাঁচাতে পারি যদি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের পেছনে বিনিয়োগ করা সম্ভব হয়।’ তবে কেন এই দিনেই সবেচেয়ে বেশি শিশুর জন্ম হয় সে সম্পর্কে কিছু বলেনি সংস্থাটি।

Advertisement

এসএ/এমএস