আইন-আদালত

মেননের শপথের স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এই আসনে নির্বাচিত এমপি রাশেদ খান মেননের শপথ ও এর গেজেটের স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে রিটে।

Advertisement

মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন। রিট নম্বর-২/২০১৯। রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজেই। এই রিটকারী আইনজীবীও এ আসনে এমপি হওয়ার জন্য লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। বাকি ছয়জন হলেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিভাগীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচিত এমপি রাশেদ খান মেনন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সচিব।

রিটে রাশেদ খান মেননকে বিজয়ী করে ঢাকা-৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে বিজয়ী বলে গেজেট প্রকাশ ও তার শপথগ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

Advertisement

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আরো জানান, নির্বাচনে রাশেদ খান মেননের লোকেরা নিজেরা সিল মেরেছেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেননি। আমি বারবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়ার পরও কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, যা সংবিধানের ৬৬ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে।

তিনি বলেন, রাশেদ খান মেনন লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করেছেন, যা আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ২০ ধারার লঙ্ঘন। তার নির্বাচনী পোস্টারে আওয়ামী লীগের সভাপতির ছবি ব্যবহার করা হয, যা আচরণবিধি ২০০৮ আইনের লঙ্ঘন।

আগামীকাল বুধবার এ রিটের শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে মহাজোট প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হন। তিনি এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৮ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পান ৩৮ হাজার ৭১৭ ভোট।

Advertisement

এ আসনে ১১০ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩ জন। আসনটিতে অন্য প্রার্থীরা ছিলেন, আবু নোমান মোহাম্মাদ জিয়াউল হক মজুমদার (ইসলামী ঐক্যজোট), আবুল কালাম আজাদ (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল), আব্দুস সামাদ সুজন (ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট), এস এম সরওয়ার (ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল কাশেম (ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ), ইউনুছ আলী আকন্দ (জাতীয় পার্টি-জাপা), ছাবের আহাম্মদ (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি), জাকির হোসেন (গণফ্রন্ট), নজরুল ইসলাম লিটন (জাকের পার্টি), শম্পা বসু (সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ), সুমি আক্তার শিল্পী (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি), হাসিনা হোসেন (মুসলিম লীগ)

এফএইচ/জেডএ/এমএস