হবিগঞ্জ-৪ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ড. আহমদ আব্দুল কাদের ও ২-আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আহমদ রূপক ভোট বর্জন করেছেন। তাদের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্ট বের করে দেয়া, জাল, ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল করা হয়েছে।
Advertisement
এ ছাড়া বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জের চারটি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী, গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়া অভিযোগ করেন যে, বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই ১৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫০টি কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ।
প্রশাসন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রগুলো দখল হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, দুটি কেন্দ্রে দখল করার সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স সামনে থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
Advertisement
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বানিয়াচঙ্গের দাসপাড়া কেন্দ্রের ধানের শীষের এজেন্ট আবুল বাশার শোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে একই উপজেলার আলিয়া মাদরাসার কেন্দ্রে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জোসেফ প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে কেন্দ্র দখল করে ভোট টেবিল কাস্ট করার অভিযোগ এনে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফছার আহমদ রূপক ভোট বর্জন করেছেন বলে দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের জানান।
আজমিরিগঞ্জ উপজেলার সব কেন্দ্র সকাল ১০টার পর সরকারি দলের দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মোট ১৩৫টি কেন্দ্রের এজেন্টের বের করে নৌকায় সিল মারা হয়। কোন কোন এজেন্টকে গ্রেফতার কিংবা মারধর করা হয়। উদ্ভুত পরিস্তিতিতে যে ফলাফল আসবে তা প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে পুনঃনির্বাচন দাবি করেন তিনি।
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে হবিগঞ্জ পৌরসভার নোয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে কিছু সময় ধাওয়া পাল্টা হয়। এ সময় ইস্পাত নামে এক কিশোর আহত হয়। পরে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই কেন্দ্র প্রায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার বেলায়েত হোসেন। বিকেল ৩টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের জেকে অ্যান্ড এইচকে হাই স্কুল কেন্দ্রে নৌকা ও ধানের শীষ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একইভাবে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে চুনারুঘাট ও মাধবপুরে সব কটি কেন্দ্র দখল করে সরকারি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জাল ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. আহমদ আব্দুল কাদের। তিনি দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
Advertisement
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/জেডএ/পিআর