দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতার শঙ্কা মাথায় রেখে উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় বাড়তি সতর্কতা রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
ভোটদান নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভাগীয় পর্যায়ের বৈঠকের পর এই পরিকল্পনা নেয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও নীলফামারী এই সাত জেলা রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনায়।
নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর ছয়টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৬৯৫টি। এখানে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬২ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৮০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৪৬৭ কেন্দ্রে।
Advertisement
নাটোরে চারটি আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৫৬৬। এই জেলায় ভোটার রয়েছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৮৭৭ জন। বগুড়ার সাতটি আসনে মোট ভোটার ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৭। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই জেলার ৯২৬ ভোটকেন্দ্র। সিরাজগঞ্জের ছয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪৪ এবং মোট ভোটার ২১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩ জন। এছাড়া গাইবান্ধা জেলায় ৬০৫টি এবং নীলফামারী জেলায় ৫১৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার মধ্যে এই সাত জেলা সহিংসতাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সহিংসতা ও নাশকতায় অতীতের রেকর্ড ঘেঁটে নেয়া হয় এই পরিকল্পনা। এরই মধ্যে ভোটের মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কঠোর নজরদারিও রয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২৭ হাজারের বেশি পুলিশের ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন। জেলাভিত্তিক ঊর্ধ্বে ২৫ প্লাটুন থেকে নিম্নে ২০ প্লাটুন করে বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
একই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। বিশেষ বাহিনী হিসেবে র্যাব সদস্যরা এলাকাগুলোতে তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
শুধু নির্বাচনী এলাকাতেই নয়, এসব জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নেয়া হচ্ছে কেন্দ্রভিত্তিক বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটের আগে ও ভোট পরে সহিংসতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কিছু বিএনপি নেতা তাদের কর্মীদের ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখাসহ নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলেও তাদের সম্ভাব্য নাশকতা ও সহিংসতার বিষয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকার কথা বলছি। আশা করি প্রশাসনও সম্ভাব্য সহিংসতার বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস/পিআর