ঢাকা শহরে বিএনপির এমপিরা জনগণের রুদ্ররোষের ধাওয়া খেয়ে নাম হয়ে গেলে দৌড় সালাউদ্দিন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
সোমবার কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এমপিরা জনগণের রুদ্ররোষে পড়েছিল, তাদের (জনগণ) ধাওয়া খেয়ে বিএনপির এমপিরা পালাতো। যার জন্য বিএনপির এক এমপির নাম হয়ে গেলো দৌড় সালাহউদ্দিন। কারণ জনগণ তাদের ধাওয়া করেছিল পানি, বিদ্যুৎ দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে অভাব ছিল, পানি ছিল না। পানির জন্য হাহাকার, এক গাড়ি পানি কিনতে যেখানে ১৫০ টাকা লাগার কথা ছিল সেখানে ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনতে হতো। আর লোডশেডিং বেশি থাকতো। রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা ছিল। একটা অসহীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমরা উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে, এর ধারবাহিকতা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে কোনো কিছু করেনি। কিন্তু নিজেরা অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। সেই অর্থ পাচার করতে গিয়ে ধরাও খেয়েছে। তারা এ দেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।
তিনি বলেন, তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং লুটপাট ছাড়া কিছুই করতে পারে না। তারা মানুষকে কিছু দিতে পারে না, শুধু নিতে পারে। আওয়ামী লীগ আসে মানুষকে দিতে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। এ দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং আগামীর উন্নয়নের জন্য যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা একান্ত প্রয়োজন। তাই আপনাদের কাছে আমার আবেদন থাকবে ঢাকা দক্ষিণে যাদের প্রার্থী করেছি তাদের ভোট দেবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন সভা মঞ্চে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
Advertisement
ঢাকা-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার মার্কা নৌকা না, তার মার্কা হচ্ছে লাঙ্গল। যেহেতু আমাদের মহাজোটে প্রার্থী, তাই সেখানে নৌকার প্রার্থী দেই নাই, তাই লাঙ্গল মার্কাকে মহাজোটের মার্কা হিসাবে বাবলাকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছি।
ঢাকা-৭ আসনের হাজী সেলিম জনপ্রিয় একজন নেতা। যদিও অসুস্থ, তারপর আমরা তাকে মনোনয়ন দিয়েছি। আমরা চাই জনগণের সেবা সবসময় তিনি করে যান।
ঢাকা-৮ আসনে রাশেদ খান মেনন তিনি আমাদের মহাজোটে আছেন কিন্তু তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন। তার জন্য নৌকা মার্কার ভোট চাই।
ঢাকা-৯ আসনের ভোটারদের কাছে আমি সাবের হোসেন চৌধুরীর জন্য ভোট চাই। কারণ তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু এখানেই না, আন্তর্জাতিক পার্লামেন্ট ইউনিয়নে সবদেশের সংসদদের ভোটে জয়যুক্ত হয়েছিলেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মানের। আন্তর্জাতিকভাবে যিনি জয়যুক্ত হয়েছিলেন তাকে ঢাকা-৯ আসনে ভোটারদের কাছে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এইউএ/জেএইচ/এমএস