একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনকে স্বাগত জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, মাঠে সেনা উপস্থিতি চিত্র বদলে দেবে।
Advertisement
নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি সরকার এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা চাইনি। এমন একটি স্বৈরনীতির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হবে, তা কল্পনা করা যায় না।’
পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের হয়ে পুলিশ মাঠে নেমে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছে। মামলা, গ্রেফতার করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতি একটি সভ্য রাষ্ট্রের হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না বলে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। সরকারপ্রধান নিজে নির্বাচন সুষ্ঠু করার প্রতিশ্রুতি দিল। অথচ পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করে একতরফা নির্বাচন করার আয়োজন করছে।’
সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আগেই সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করার অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের অনুরোধ রাখলে আজ পরিস্থিতি এমন হতো না। এরপরও সেনাবাহিনী মোতায়েনকে আমরা সাধুবাদ জানাই। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনী জনমতের বাইরে কিছু করবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন বলে আমি আশাবাদী।’
Advertisement
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী কাজ করবে। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য সারাদেশের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে পৌঁছাতে শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯ দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানায় ইসি।
এএসএস/বিএ/জেআইএম
Advertisement