সশস্ত্র বাহিনী কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য দেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
Advertisement
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে স্বাগত জানাই। আশা করছি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ফলে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে যা এতদিন ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি সশস্ত্র বাহিনী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিংবা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না। সশস্ত্র বাহিনীর ওপর দেশ ও দেশের ইমেজ নির্ভর করে।’
Advertisement
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল (সোমবার) থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারা ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী। অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে সেক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট তাদের শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
এছাড়া ‘সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মৌখিক নির্দেশ দেয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন।’
Advertisement
এআর/এমএমজেড/পিআর